COMPUTER TIPS

                      গেমগুলোকে পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করে রাখুন

কম্পিউটারে গেম খেলার নেশা শিশুদেরতো রয়েছে এমনকি বড়দেরও আছে। বাসার কম্পিউটার হলে অন্যদেরকে গেম খেলা থেকে রিবত রাখা বেশ কষ্টকর। কিন্তু আপনার অনুপস্থিতিতে কেউ যাতে গেমগুলো চালু করতে না পারে এবং চালু করতে গেলে পাসওয়ার্ড দরকার হয় তাহলে কেমন হতো! Game Protector সফটওয়্যার দ্বারা সহজেই যেকোন গেমের মূল চালক ফাইল পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করে রাখা যাবে ফলে গেমটি চালাতে গেলেই পাসওয়ার্ড চাইবে। এভাবে গেমের চালক ফাইল ছাড়াও অনান্য এ্যাপলিকেশনও পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করা যাবে। পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করলে অবশ্য একই ফোল্ডারে উক্ত এ্যাপলিকেশনর ব্যাকআপ তৈরী হয়। মাত্র ৩.৯৫ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এই সফটওয়্যাটি www.gameprotector.com থেকে ডাউনলোড করা যাবে।
  

         ভাইরাসের কারণে ফোল্ডার হিডেন হলে ফিরে পাওয়া            


ভাইরাসের কারণে অনেক সময় হার্ডডিক্সের বা ফ্লাশ ডিক্স (পেন ড্রাইভ) এর ফোল্ডার হিডেন হয়ে যায়। ফলে এই ফোল্ডারগুলো যেমন আনহাইড করা যায় না তেমনই সার্চ করলে ফলাফলও পাওয়ার যায় না।
ফোল্ডারগুলো খুঁজে পেতে Control Panel থেকে Folder Options খুলুন। এবার View ট্যাবে গিয়ে Show hidden files and folders এবং Hide protected operating system files আনচেক করুন। এবার উক্ত ফোল্ডারে সার্চ (Advanced Options থেকে Search hidden files and folders চেক করে) করুন তাহলে হিডেন হওয়া ফোল্ডারগুলো দেখা যাবে।
ভাইরাস জনিত কারনে ফোল্ডারগুলো হিডেন অপশন ডিজেবল হলে উক্ত ফোল্ডারগুলোর প্রোপাটিস থেকে হিডেন চেক বক্স আনচেক করা যাবে না ফলে ফোল্ডারগুলো স্বাভাবিকভাবে প্রদর্শিত হবে না। হিডেন অপশন সক্রিয় এবং আনচেক করতে পারবেন এট্রিবিউট চেঞ্জার সফটওয়্যার দ্বারা। ১.০৬ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এট্রিবিউট চেঞ্জার সফটওয়্যারটি www.petges.lu থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এখন যে ফোল্ডারের এট্রিবিউট পরিবর্তন করতে চান সেই ফোল্ডারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Change Attributes এ ক্লিক করুন এবং Folder Properties ট্যাব থেকে System, Hidden আনচেক Ok করে করুন।
ব্যাস এবার দেখুন ফোল্ডারগুলো স্বাভাবিকভাবে দেখা যাচ্ছে। এখন Folder Options এর View ট্যাবে গিয়ে Show hidden files and folders এবং Hide protected operating system files চেক করে আসুন।

        

         কোন লেখা যতই ছোট হোক না কেন, পড়ুন তা বিনা কষ্টে

আপনার কী দেখতে সমস্যা হয়? অথবা ছোক ভাল কিন্তু এমন অনেক ছবি অথবা অনেক সময় এমন অনেক কিছু লিখা তাকে যা সহজে পড়া যায় না। উদাহরণস্বরূপ ফেইসবুকে বাংলা চ্যাটের কথা বলা যায়। যারা ফেইসবুকে বাংলা চ্যাট করেছেন তারা যানেন যে এত ছোট লেখা পড়তে কথ জামেলা পুশাতে হয়। আর এই সব কথা মাইক্রোসফটের আগে তেকেই হয়ত জানা আছে তাই তো তারা উইন্ডোজ অপারেটিং এর সাথে একটি প্রোগ্রাম দিয়ে দিয়েছে যা ব্যবহার করে অতি সহজে এই সব অতি ছোট লেখাও পড়াও সম্ভব হবে।
এই প্রোগ্রামটির নাম হল Magnifier । এই প্রোগ্রাম নিজে তেকে ইন্সটল করার কোনো প্রয়োজনই নেই। কেননা এটা আপনি পাচ্ছেন উইন্ডোজ় এর সাথে ফ্রী হিসেবে। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে এই প্রোগ্রাম চালু করবেন? হ্যা, এটা চালু করার জন্য পথমে Start—Program Files—Accessories—Accessibility এ যান এবং Magnifier এ ক্লিক করুন। প্রোগ্রাম চালু হল? হ্যা শুধুমাত্র এই কাজ করার মাধম্যেই আপনি এই প্রোগ্রাম চালু করে ফেলতে পারেন। তাহলে কেন ডাওনলোড এর জামেলায় যাবেন? আর তারপরও জামেলায় যেতে চাইলে আমার বলার কিছু নাই। আশা করি টিউনটা ভাল লাগল। সবাইকে টিউনটা পড়ার জন্য আমার পক্ষ তেকে ধন্যবাদ। যদি বুঝতে সমস্যা হয় এই লিংকে যেতে পারেন।

         কম্পিউটার হ্যাং হবার ১২টি কারণ সমন্ধে জেনে নিন                

হ্যাং বলতে কী বুঝায়?

আমরা প্রয়ই বলে তাকি কম্পিউটার হ্যাং ধরেছে। কিন্তু আসলে হ্যাং বলতে কী বুঝায়? কম্পিউটার যখন তার কাজের ফলাফল ঠিকমত প্রকাশ করে না বা তার কাজের ফলাফল অনেক সময় নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে তখন কম্পিউটারের এই অবস্থা কে হ্যাং বলে। এটা আমার মতামত অনেকে ভিন্নতা পোষণ করতে পারেন। সকল কাজের পিছনেই একটা না একটা কারণ রয়েছে। ঠিক তেমনি কম্পিউটার হ্যাং হবার পিছনেও কারণ রয়েছে। আর সে কারণগুলোই এখন বলব।

কম্পিউটার হ্যাং হবার কারণ

  • কম্পিউটারের প্রসেসরের মান ভাল না হলেঃ- কম্পিউটারের কাজ করার পরিমাণ নির্ণয় করে কম্পিউটারের প্রসেসর। আর প্রসেসরের মান ভাল না হলে কম্পিউটার হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক।
  • কম্পিউটার র‌্যামের পরিমাণ কম হলেঃ- আমরা যখন কোনো কাজ করি তখন সেই কাজটা সম্পন্ন হয় কম্পিউটার র‌্যাম অঞ্চলে। আর এই র‌্যামের পরিমাণ খম হলে কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করতে পারে না। এবং কম্পিউটারে হ্যাং ধরে।
  • কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের হার্ডডিক্স এর কানেকশন সঠিক না হলে হঠাৎ কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- কম্পিউটারের প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে কম্পিউটার হঠাৎ করে হ্যাং হতে পারে এমনকি এর জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়ার পরো ঠিক নাও হতে পারে। কেননা কম্পিউটারের সকল কাজ করে তাকে প্রসেসর।
  • অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলেঃ- এছাড়া অন্য কোনো হার্ডওয়্যার কানেকশন অথবা হার্ডওয়্যারে সমস্যা তাকলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
  • অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি তাকলেঃ- অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি বলতে কোনো সিস্টেম ফাইল কেটে যাওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটারে সমস্যা হতে পারে।
  • কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেঃ- সাধারণত এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী হ্যাং হয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রয়ই হ্যাং হয়।
  • অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু করলেঃ- হ্যা এটার কারণে সবচেয়ে বেশী কম্পিউটার হ্যাং হয়। মনে করেন আপনার কম্পিউটার র‌্যাম এর পরিমাণ ১২৮ কিন্তু আপনি অনেক বড় বড় কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু করলেন। তাহলে হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা তখন কম্পিউটার র‌্যাম ফোল হয়ে যাবে।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালেঃ- আপনার কম্পিউটার র‌্যাম যদি কম হয় কিন্তু আপনি যদি হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালান তাহলে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে তাকে কেননা তখন র‌্যাম সম্পূর্ণ লোড হয়ে যায়।
  • হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যাবহার করলেঃ- কম্পিউটার গেইম এর পাশাপাশি কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো খুব উচ্চ গ্রাফিক্স সম্পন্ন। যা সাধারণ কম র‌্যাম ও কম প্রসেসরের ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারে চালনা করলে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলেঃ- এই বিষয়ে আমি এই টিউনে বলেছিলাম। কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাকলে ঐ সব ফাইল নিয়ে কাজ করতে কম্পিউটারের অনেক বেশী সময় লাগে। যার করণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।
  • কম্পিউটারে  অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করলেঃ- হ্যা আমরা ভাইরাস হতে মুক্তি লাভের আশায় এন্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় কম্পিউটারের মানের কথা না ভেবেই উচ্চ ক্ষমতা ও উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করে তাকি যার কারণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

Related Posts with Thumbnails